যুগের নারায়ণগঞ্জ:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক- এ ‘নারায়ণগঞ্জের খবর’ নামের এক ভুয়া আইডি খুলে জেলার প্রতিষ্ঠিত এক ব্যবসায়ীর নামে কুৎসা রটিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে সাংবাদিক নামধারী কিছু অপরাধীর বিরুদ্ধে। নিজেদের পরিচয় গোপন করে ফেসবুকের ওই ভুয়া আইডিতে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মিথ্যে তথ্য দিয়ে প্রথমে পোস্ট করেন সংঘবদ্ধ ওই চক্রটি। এরপর সেই পোস্ট ডিলিট করার অনুরোধ করলে দাবি করেন মোটা অংকের চাঁদা। চক্রটির চাঁদাবাজির এমন কৌশলে বিপাকে পড়ে সম্মানহানি হচ্ছে ওই ব্যবসায়ীর। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী তাইজুল ইসলাম রাজীব আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
জানা যায়, রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ‘নারায়ণগঞ্জের খবর’ নামের ওই ভুয়া আইডিতে জেলার স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আজাদ-রিফাত ফাইবার্সের পরিচালক তাইজুল ইসলাম রাজীবের বিরুদ্ধে নানা প্রোপাগাণ্ডা মিশ্রিত একটি পোস্ট দেয়া হয়। শামীম ওসমানের সাথে থাকা রাজীবের একটি ছবিও জুড়ে দেয়া হয় সেই পোস্টে। পোস্টে ব্যবসায়ী রাজীবকে আ.লীগের দোসর, ভূমি খেকো ও শাহ নিজামের সহযোগী হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। এমনকি ওই ব্যবসায়ীর চরিত্র হননের জন্য একই পোস্টে লেখাটি রিপোর্ট আকারে না.গঞ্জ থেকে প্রকাশীত একটি পত্রিকায় প্রকাশ করে।
এ ব্যাপারে আজাদ-রিফাত ফাইবার্সের পরিচালক তাইজুল ইসলাম রাজীব বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের খবর’ আইডিতে আমাকে নিয়ে যেসব তথ্য দিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভুয়া। আমি একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ী হিসেবে সামাজিকভাবে নানা কর্মকান্ডে জড়িত থাকতে হয়। সামাজিক অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিরা ডাকলে আমাদের যেতে হয়। তারমানে এই নয় যে, আমি ওই দলের সমর্থক কিংবা ওই নেতার সহযোগী।
তিনি আরো বলেন, পোস্টে আমাকে শাহ্ নিজামের অস্ত্র সরবরাহকারী বলা হয়েছে। তাছাড়া আমার ও আমার বাবার নামে নাকি জমি কেনাতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও নম পার্কে নাকি আমার ৬০ শতাংশ পার্টনারশীপ রয়েছে বলে দাবি করা হয় ওই পোস্টে। আমি এসব তথ্যের তীব্র নিন্দা জানাই। আমি কারো জমি কখনো দখল করেছি এমন কোন রেকর্ড নেই। আমার নামে জমি কেনাতে সরকার কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। কারন আমি এতো সম্পত্তির মালিক এখনো হইনি যে আমার উপর নিষেধাজ্ঞা দেবে। আর নম পার্কের যে পার্টনারশীপের কথা বলা হয়েছে, সেটাও মিথ্যে। আমি নম পার্কে থাকা রেস্টুরেন্টে আমার পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে প্রায় সময়ই খেতে যেতাম। সেখানে খাবার খেতে গেলেই কি মালিক বনে যায়? আমি এসব ঘটনা থেকে পরিত্রান পেতে আইনের আশ্রয় নিচ্ছি। আমি এ ধরনের মিথ্যে সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাই।
এ বিষয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুক্কুর আলী শুভ জানান, অপসাংবাদিকতার জন্য প্রকৃত সাংবাদিকদের সম্মানহানি ঘটছে। যারা এমন জঘণ্য অপরাধের সাথে জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।