যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জে সাবেক ছাত্রদল নেতা আল মামুন আমানতের জানাজায় অংশ নিয়েছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া৷
বৃহস্পতিবার রাত নয়টায় শহরের চাষাঢ়ায় নবাব সলিমউল্লাহ সড়কে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়৷
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমও উপস্থিত ছিলেন৷
জানাজার আগে শহীদ মিনারে আসিফ মাহমুদ ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা যদি এগিয়ে না আসতেন, আমাদের ভাইয়েরা-বোনেরা যদি এগিয়ে না আসতো তাহলে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে সবশেষে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হতো না৷ নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কিংবা যাত্রাবাড়ি, সায়েদাবাদ এলাকায় মানুষের যে অংশগ্রহণ, জনস্রোত ছিল, তা আমাদের বিজয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে৷ আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা৷’
আমানতের স্মরণে তিনি বলেন, ‘পার্থিব জগতে আমার ভাইয়ের শূণ্যস্থান পূরণের মতো সামর্থ্য আমাদের কারো নেই৷ সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন৷’
সারা বাংলাদেশের সকল ছাত্র-জনতা নিহত আমানতের পরিবারের সাথে আছে বলে জানান তিনি৷
আমানতের পরিবারের লোকজন জানান, ফতুল্লার জালকুড়ি এলাকার বাসিন্দা ৪১ বছর বয়সী আল মামুন আমানত নারায়ণগঞ্জ কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন৷ গত ৫ আগস্ট বাসায় না জানিয়ে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে যায় আমানত৷ ওইদিন বিকেল থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না৷
গত ১৪ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহটি শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা৷
নিহতের স্ত্রী হাসিনা মমতাজ বলেন, ‘গত ৫ তারিখ গুলিবিদ্ধ হন আমানত৷ তার শরীরে আরো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে৷ হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, ওইদিন মৃত অবস্থাতেই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়৷’
আমানত একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন বলে জানান পরিবারের সদস্যরা৷
আমানতের জানাজায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আমীর খসরু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জের নেতৃবৃন্দও অংশ নেন৷