বন্দর প্রতিনিধিঃ দাবিকৃত ১ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে বন্দরে বীরমুক্তিযোদ্ধার ছেলের দোকান নিমার্ন কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় চাঁদাবাজ রাকিবসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বীরমুক্তিযোদ্ধা ছেলে মাসুদ মিয়া বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন দুপুরে স্থানীয় চাঁদাবাজ রাকিবসহ ও আরো ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর আগে সোমবার (৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বন্দর রেললাইস্থ জনৈক শফিকুল ইসলামের গ্রেজের সামনে ওই চাঁদা দাবির ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, বন্দর উপজেলার ১নং নয়ানগর এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মেম্বারের ছেলে মাসুদ মিয়া ও তার বন্ধু আলামিন মিয়া গত ৪ দিন পূর্বে বন্দর রেললাইনস্থ জনৈক শফিকুল ইসলামের গ্রেজের সামনে দোকান নিমার্ন কাজ শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে উল্লেখিত দুই বন্ধু দোকান নিমার্ন কাজ করার সময় বন্দর হাফেজিবাগ এলাকার জব্বার মিয়ার ছেলে সম্প্রতি বন্দর থানার মারামারি মামলার আসামী ও স্থানীয় চাঁদাবাজ রাকিবসহ অজ্ঞাত নামা ৬/৭ সন্ত্রাসী বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান মাসুদের নিকট দোকান নিমার্ন বাবদ ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই সময় মাসুদ ও তার বন্ধু আলামিন চাঁদা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে ওই সময় উল্লেখিত চাঁদাবাজসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা ক্ষিপ্ত হয়ে দোকান নিমার্ন কাজ বন্ধ করে দেয়। দাবিকৃত চাঁদা না পেলে উল্লেখিত জায়গা দখলে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় দুই বন্ধু প্রতিবাদ করলে ওই সময় স্থানীয় চাঁদাবাজরা তাদের সাথে মারমুখি আচরন করে হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক গনমাধ্যমকে জানান, থানায় দায়েরকৃত অভিযোগটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে