বন্দর প্রতিনিধিঃ কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাহাবুবের অবৈধ ড্রেজার ও অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে প্রকাশিত সংবাদে বন্দরে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। মাহাবুব মেম্বারের অবৈধ ড্রেজার আগ্রাসন নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত বেশ কিছু পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর থেকে মাহাবুব মেম্বার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা নিজেদের রক্ষা করতে বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। এলাকাবাসী সাথে কথা বলে জানাগেছে , গত ইউনিয়ন পরিষদের নিবার্চনে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের পূর্ব হাজীপুর এলাকার মোহাম্মদ হোসেন মিয়ার ছেলে মাহাবুব মেম্বার প্রচুর টাকা খরচ করে মেম্বার নিবার্চিত হয়। মেম্বার নিবার্চিত হওয়ার পর থেকে মাহাবুব ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে আধিপত্য বিস্তার করতে মরিয়া হয়ে উঠে। সরকারি নিয়মনিতী তোয়াক্কা না করে পূর্ব হাজীপুর ও নয়ানগর বিলে অবৈধ ড্রেজার লাগিয়ে অবাধে ফসলি জমি ভরাট করে ফেলছে। অপরিকল্পতি ভাবে ফসলি জমিজমা ভরাট হয়ে যাওয়ার কারনে উল্লেখিত এলাকাসহ এর আশে পাশের এলাকা গুলোতে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অধিক হারে ফসলি জমিজমা ভরাট হওয়ার কারনে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা স্থায়ী জলাবদ্ধতা রুপ নিতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করছে স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে জনৈক মনির মিয়া নামে এক ব্যাক্তি গনমাধ্যমকে জানায়, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাহাবুব নিবার্চনের পর থেকে আখের গুচ্ছাতে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। তার বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও সন্ত্রাসী মাহাবুব মেম্বারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বন্দর রেললাইন এলাকায় বন্দর ফাঁড়ী পুলিশকে ভূয়া পুলিশ আখ্যা দিয়ে পুলিশের দুই কন্সেটেবলকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে আসামী। থানায় মামলা হওয়ার পর র্দীঘ দিন পলাতক থাকার বেশ কদিন পূর্বে মাহাবুব মেম্বার জামিনে এসে পুরনো অপর্কমে লিপ্ত হয়েছে। তার এ অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে এক কথিত সাংবাদিকসহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মাহাবুবের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি এ বিষয়ে এড়িয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন প্রধানের সাথে তার ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের একাধিক বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নিবার্হী কর্মকতার্ বি.এম. কুদরত এ খুদার মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিফ করেনি।