বন্দর প্রতিনিধিঃ বন্দরে র্যালী আবাসিক এলাকায় বসবাসরত কতিপয় ধান্দাবাজ হোসেন কাউছারের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে বন্দরে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। ধান্দাবাজ হোসেন কাউছারের অত্যাচার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুরে যুবলীগ নেতা ডালিম হায়দার, কাঠ ব্যবসায়ী মহসিন ও সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে পৃথক ২টি সাধারন ডায়রী ও একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। যার জিডি নং-১৬৪ ও ১৬৫ তাং-৪-৭-২০২৩ইং।
বন্দর থানা যুবলীগ নেতা ডালিম হায়দার তার জিডিতে উল্লেখ্য করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোসেন কাউছার নামে ফেইস বুক এক আইডি থেকে আমার নামে অপপ্রচার, হুমকি প্রদানসহ অশ্লীল গালাগালি করে আমাকে সামাজিক ভাবে সম্মান হানি করে। বিষয়টি স্থানীয় এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গদের অবগত করে এ ব্যাপারে আমি বন্দর থানায় সাধারন ডায়রী এন্ট্রি করি। যার জিডি নং-১৬৩
এ ছাড়াও কাঠ ব্যবসায়ী মহসিন জানান, এই হোসেন কাউছার আমাকে সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে নগদ ৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর আরো ১০ হাজার দাবি করে। পরবর্তীতে গত শনিবার (১ জুলাই) দুপুর ১২টায় বন্দর ফায়ার সার্ভিসের সামনে বিবাদী হোসেন কাউছার পুনরায় আমার নিকট আরো ১০ হাজার টাকা দাবি করে। ওই সময় আমি টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে ধান্দাবাজ হোসেন কাউছার ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে সম্মানহানী জন্য হোসেন কাউছার ফেইজবুক আইডি থেকে ছিনতাইকারি, মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে নানা ভাবে বদনাম রটিয়ে আমাকে সামাজিক ভাবে সম্মানহানীসহ নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। এ ব্যাপারে আমি বন্দর থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করি। যার জিডি নং- ১৬৪।
এ ব্যাপারে নীরবাংলা পত্রিকার প্রতিনিধি বিল্লাল হোসেন জানান, কতিথ সাংবাদিক হোসেন কাউছারের অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জে বেশ কিছু পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক পরিচয়দানকারি ধান্দাবাজ হোসেন কাউছার ০১৯১১৬৬৪৪৩৩ নাম্বার থেকে আমার ব্যবহারকৃত ০১৮১৪৪১৩১০৩ নাম্বারে ফোন দিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগিলসহ প্রাননাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে কথিত সাংবাদিক হোসেন কাউছার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, জিডি দুইটি ও অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।