বন্দর প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। শনিবার বিকেলে বন্দরের কুশিয়ারা হাজী আবদুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে হাজারো নেতা কর্মীর উপস্থিতিতে উৎসব মুখর পরিবেশে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ, সাধারণ সম্পাদক কাজিমউদ্দীন প্রধান, আবদুস সালাম, গিয়াসউদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, আওয়ামী লীগের নেতা মোক্তার হোসেন, যুবলীগ নেতা খান মাসুদ, এস আই জুয়েল, ইব্রাহিম কাশেম, মজিবুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আরিফুল ইসলাম আলীনূর, আবু হাসনাত জনি, মহানগর ছাত্রলীগ সাবেক সহ সভাপতি রাজু আহমেদ সুজন, আরফাত কবির ফাহিমসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনের প্রথম ধাপে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ বলেন, আমরা দেশ ও জনগণের জন্য রাজনীতি করি। দলের স্বার্থে সকলে কাজ করুন। কাউন্সিলের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের নেতা নির্ধারন করবেন।
মোট ২শ ৩৪ টি ভোট। সভাপতি পদে আলহাজ্ব নুরুজ্জামান পেয়েছে সর্ব্বোচ রের্কড পরিমান ভোট। ২শ ৩৪ ভোটের মধ্যে ১শ ৭৪ টি ভোট পান আর জাকির হোসেন পনির ভোট পেয়েছে মাত্র ৪৪ টা। সাধারন সম্পাদক পদে দুই এডভোকেটের মধ্যে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন প্রার্থী ছিল। এড. তাজুল ইসলাম ৯৭ ভোট, এড. জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছে ৭৫ ভোট আর মো: বাদল মিয়া পেয়েছে ৫০ ভোট। সভাপতি পদে অনেকটা এক তরফাভাবে ভোটারদের মন জয় করেছে আলহাজ্ব নুরুজ্জামান। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর একটি ঘাটি। দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পরে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নের্তৃত্ব তৈরি হল। এখন দেখা পালা ঝিমিয়ে পড়া বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের রাজনৈতিকে কতটা গতিশীল ও চাঙ্গা করতে পারে। আলহাজ্ব নুরুজ্জামান ও এড. তাজুল ইসলাম পরিষদের দিকে তাকিয়ে তৃনমূল। ভোটাররা বেঁচে নিয়েছে যোগ্যতার আধলে। ভোটারদের বিশ্বাস আর ভালবাসার প্রতিদান হিসেবে এ পরিষদ বন্দর ইউনিয়নসহ ৯ টি ওর্য়াড আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে কতটা গতিশীল করতে পারে বলে জানান যুবলীগ নেতা খান মাসুদ।
তবে প্রায় দুই দশক পর কাউন্সিল হলেও ছিল না তেমন কোন উৎসবের আমেজ। অনেকটা সাদাসিধা ভাবে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কাউন্সিল হলেও কোন প্রার্থীই তাদের লোক সমাগম দেখাতে পারেনি। যে ৫ জন প্রার্থী ছিল ১শ জন করে লোক নিলেও ভোটার ছাড়াও ৫শ' ভোটার ২৩৪ জন, ছাড়া আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়া যুবলীগ নেতা খান মাসুদ মিছিল নিয়ে সম্মেলন স্থানে উপস্থিত হন।
এদিকে বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একটি কার্যালয়সহ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মনের মত করে, সিনিয়র নেতাদের দিকনির্দেশনা ভাবে কাজ করার আশা ব্যাক্ত করেন সদ্য নির্বাচিত সভাপতি আলহাজ্ব নুরুজ্জামান।