1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ন

নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তাকে তলব-যুগের নারায়ণগঞ্জঃ

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩
  • ৩২৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আদেশ অনুসারে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ না হওয়ায় ব্যাখ্যা জানাতে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। তাঁদের ৩১ মে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
এক আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন। অপর দুই কর্মকর্তা হলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) ও নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে করা রিটের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট বায়ূদূষণ রোধে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। ‘ঢাকায় নিশ্বাস নিলেও বিপদ’ শিরোনামে গত ২৯ জানুয়ারি প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে বায়ুদূষণ রোধে হাইকোর্টের দেওয়া ৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করে এইচআরপিবি। এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ঢাকাসহ আশপাশের ৫ জেলার অবৈধ সব ইটভাটা দুই সপ্তাহের মধ্যে উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি ওঠে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী আমাতুল করীম এবং রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ শুনানিতে ছিলেন।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতের দেওয়া নির্দেশ কেন বাস্তবায়ন করা হয়নি—এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট), নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালককে ৩১ মে সশরীর হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পরিবেশ অধিদপ্তরের আইনজীবী আমাতুল করীম প্রথম আলোকে বলেন,চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে নারায়নগঞ্জের ১০টি অবৈধ ইটভাটার কাছ থেকে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ আছে। অবৈধ অপর একটি ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আইনে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে ক্ষমতা দেওয়া আছে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ প্রায় অসম্ভব, শুনানিতে বলেছি। আদালত ব্যাখ্যা জানাতে তিন কর্মকর্তাকে ৩১ মে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের ৯ দফার নির্দেশনার মধ্যে ঢাকা শহরে মাটি/বালু/বর্জ্য পরিবহন করা ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িতে মালামাল ঢেকে রাখা; নির্মাণাধীন এলাকায় মাটি/বালু/সিমেন্ট/পাথর/নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা; সিটি করপোরেশন রাস্তায় পানি ছিটাবে; রাস্তা/কালভার্ট/কার্পেটিং/খোঁড়াখুঁড়ির কাজে দরপত্রের শর্ত পালন নিশ্চিত করা; সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে গাড়ির চলাচল সময়সীমা নির্ধারণ ও উত্তীর্ণ হওয়া সময়সীমার পরে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা; পরিবেশগত সনদ ছাড়া চলমান টায়ার ফ্যাক্টরি বন্ধ করা; মার্কেট/দোকানের প্রতিদিনের বর্জ্য ব্যাগে ভরে রাখা এবং বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করা রয়েছে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট