মোঃ জাহিদ হোসেন,দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পাওয়ায় দিনাজপুর সদর উপজেলার আস্করপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়াকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ইউনিয়নবাসী।
ষড়যন্ত্র ও হয়রানীমূলক মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে ১১ মে (বৃহস্পতিবার) দিনাজপুর সদর উপজেলার আস্করপুর ইউনিয়নের বোর্ডের হাট এসে পৌঁছালে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়াকে বীরমুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, দলীয় নেতা-কর্মী ও ইউনিয়নবাসী ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আস্করপুর ইউনিয়নের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ (২), খানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকসেদুল হক, সাবেক ইউপি সদস্য মোকলেছার রহমান, সাবেক ইউপি সদস্যা সাবিনা ইয়াসমিন, ফরিদা ইয়াসমিন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দসহ ইউনিয়বাসী।
এ সময় জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হয়রানী ও আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার লক্ষ্যে একটি মামলা করা হয়েছে। আমি আমার সাধ্যমত সুখে-দুঃখে আস্করপুর ইউনিয়বাসীর কল্যাণে কিছু করার চেষ্টা করেছি। আমি দীর্ঘদিন এই ইউনিয়নে মেম্বার ছিলাম, এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম প্রায় ৯ বছর, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি প্রায় ১০ বছর। তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র সাথে আতাত করে কতিপয় ব্যক্তি আমার নামে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেছে। যিনি করেছে তিনি একজন বিএনপি’র কর্মী। এই বিএনপি কর্মী আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ৫০ বছরেও এই ইউনিয়নের যে উন্নয়ন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে রাস্তাঘাট, স্কুল-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির নেতৃত্বে এই ইউনিয়নে ৩শ’ কোটি টাকার উপর উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে এবং আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে এই ইউনিয়নে পরাজিত করতে বিএনপি’র কর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের কতিপয় ব্যক্তি আওয়ামী লীগেরই তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন প্রকার হয়রানী ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে।