যুগেরনারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহবায়ক মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাত করার মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে চার্জশীট দাখিল করেছে পুলিশ। এ চার্জশীটে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিনের ছেলেসহ তার কয়েকজন অনুসারীর নাম রয়েছে। তা নিয়ে বেশ আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে নারায়ণগঞ্জে।
রাজধানী ঢাকার জজ কোর্টের একটি আদালতে সম্প্রতি চার্জশীট জমা দেওয়া হয়।
এতে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন পুত্র গোলাম মো. কাউসার ওরফে রিফাত, গিয়াস উদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী পল্টু কর্মকার, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি দিদার আলম ওরফে সাগর সিদ্দিকী, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, রিফাতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হৃদয়, জুয়েল মীর এবং রুহুল আমিন শিকদারের নাম উল্লেখ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হোসেন জানান, এ মামলার কাজ শেষ হয়ে গেছে। সম্প্রতি এ মামলার চার্জশীট জমা দেওয়া হয়ে গেছে। এ বিষয়ে আমার এখন বিস্তারিত বলা সম্ভব না।
অধ্যাপক মামুন মাহমুদ লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আমরা কাউকে আসামি করে মামলা করি নাই। পুলিশ তদন্ত করে যাদের দোষী মনে করেছে তাদের বিরুদ্ধেই চার্জশীট জমা দিয়েছে। বিষয়টি বিচাররাধীন, এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নাই। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার প্রত্যাশা থাকবে, যারা এ ঘটনায় জড়িত প্রশাসন তাদের সকলের বিচার করবে।
গত বছরের ২৫ এপ্রিল পল্টনে জেলা বিএনপির বৈঠক শেষে বের হবার পর কস্তুরি রেস্টুরেন্টের সামনে মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা জুয়েল নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে জুয়েলের মোবাইলে কল লিস্ট ও তার দেয়া তথ্যে জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি সাগর সিদ্দিকিকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় পরবর্তীতে মামুন মাহমুদের স্ত্রী বদরুন্নাহার বাবলী বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেন। মামলায় জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বছরের ২৭ এপ্রিল তিনদিনের রিমান্ডে আনে। ঘটনার ৩ দিন পর গিয়াস উদ্দিনের সিদ্ধিরগঞ্জ বাড়ি মুক্তিযোদ্ধা নিবাসে অভিযান চালায় পল্টন থানা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। অভিযানের খবর টের পেয়ে আগেই সটকে পড়েন গিয়াসউদ্দিন ও তার ছেলে রিফাত।