1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

রোজার ফজিলত ও আহকাম,,,,,,আলহাজ্ব ক্বারি ওবয়দুল্লা আসরাফি

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩
  • ১৯৪ বার পড়া হয়েছে

(১) হযরত আবূ হোরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন– যে ব্যক্তি (রোজা অবস্থায়) মিথ্যা কথা ও মন্দকর্ম পরিহার করেনা, আল্লাহ তা’আলার নিকট তার পানাহার পরিহার (রোজার) করার কোন গুরুত্ব নেই।

#তথ্যসূত্রঃ বোখারি ও মুসলিম শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং- ১৯০০।

(২) হযরত আবূ হোরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন– যে ব্যক্তি রমযান মাসে শরীয়তের অনুমতি ছাড়া এবং রোগের কারণ ছাড়া একদিন রোজা রাখেনা, সে যদিও গোটা জীবন রোজা রাখে, তবু সে সেটার ক্বাযা করলো না (রমজানের রোজার বরাবর হবে না)।

#তথ্যসূত্রঃ আহমদ, তিরমিযী, আকূ দাউদ, ইবনে মাযাহ, দারেমী, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং- ১৯১৪।

(৩) হযরত আবূ হোরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন– যে ব্যক্তি ঈমান ও নিষ্ঠার সাথে রমযানের রোজা রাখবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। যে ব্যক্তি রমযানে ঈমান ও নিষ্ঠার সাথে রাতগুলোতে ইবাদত (তারাবীহ, তাহাজ্জুদ) করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি শবে ক্বদরে ঈমান ও নিষ্ঠার সাথে ইবাদত করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।

#তথ্যসূত্রঃ বোখারি ও মুসলিম শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং- ১৮৬০।

(৪) হযরত আবূ হোরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন– মানুষের সমস্ত নেক কাজের সাওয়াব দশগুণ থেকে সাতশগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে। মহান রব ইরশাদ ফরমাচ্ছেন– রোজা ব্যতীত; কারণ রোজা তো আমার জন্য এবং আমিই সেটার সাওয়াব দেবো। সে আমার জন্য তার কুপ্রবৃত্তি ও নিজের আহার ত্যাগ করে। রোজাদারের জন্য দু’টি খুশী– একটি খুশী ইফতারের সময়, আর দ্বিতীয়টি আপন রবের সাথে সাক্ষাতের সময়। রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের চেয়েও উত্তম। আর রোজা হচ্ছে ঢাল এবং যখন তোমাদের মধ্যে কারো রোজার দিন হয়, তবে সে না মন্দকথা বলবে, না শোর-চিৎকার করবে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় কিংবা লড়াই করতে আসে, তবে তাকে বলে দেবে– আমি রোজাদার।

#তথ্যসূত্রঃ বোখারি ও মুসলিম শরিফ, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং- ১৮৬১।

(৫) রোজার প্রতিদান আল্লাহপাক নিজেই দেবেন এবং বিনা হিসাবে প্রত্যেক নেক আমলের নির্ধারিত সওয়াব ও প্রতিদান রয়েছে যার মাধ্যমে আল্লাহ পাক আমলকারীকে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু রোজার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ, রোজার বিষয়ে আছে আল্লাহর পক্ষ থেকে এক অনন্য ঘোষণা।

#তথ্যসূত্রঃ সহীহ মুসলিম- ১১৫১।

(৬) হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন– মানুষের প্রতিটি আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকির সওয়াব দশগুণ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত হতে পারে। আল্লাহ তায়ালা বলেন– কিন্তু রোজার বিষয়টা আলাদা। কেননা তা আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করবো। বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে।

#তথ্যসূত্রঃ মুসনাদে আহমাদ- ৯৭১৪।

#প্রচারেঃ “দক্ষিণ গোয়ালবন্দ জামে মসজিদ।”

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট