যুগেরনারায়ণগঞ্জ
ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ সাংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় কোন্দল নিরসনসহ নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দলীয় হাইকমান্ড। নির্বাচনের আগ মুহুর্তে দলে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হলে বিগত সময়ের নির্বাচনগুলোর মতই ভরাডুবির আশংকা দ্বাদশ নির্বাচনে হাতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল। এ অবস্থায় জেলা ও মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে আহ্বায়কের গন্ডি পেরিয়ে পূনাঙ্গ কমিটির রূপদানের মাধ্যমে দলকে চাঙ্গা করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নিবেন দলীয় হাই কমান্ড এমনটাই মনে করা হচ্ছে বিএনপির কর্মী সমর্থকদের পক্ষ থেকে। সূত্রে জানা যায়, বিগত সময়ে বিএনপির ভরাডুবির কারণ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বকে দায়ি করে প্রার্থী বাছাইয়ে অদুরদর্শিতাকে দায়ি করেছেন। তৃর্ণমূল পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মতে, অতীতে যারা দলের পক্ষে মাঠে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে পুলিশের হামলা মামলার শিকার হয়েছে তাদের মতামতের কোন মূল্য না দেয়ায় নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে চরম খেসারত দিতে হয়েছে। যার পরিনতিতে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর-বন্দর আসনের প্রার্থীদের জামানত কোন মতে টিকেছে। অপর দিকে বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা হিসাবে পরিচিত আড়াইহাজার আসনে নজরুল ইসলাম আজাদ মাত্র ৫ হাজার ভোট পেয়েছে। রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ে বিএনপি প্রার্থীর জয়লাভতো দুরের কথা জামানত পর্যন্ত টিকেনি। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা মনে করে এক্ষেত্রে প্রার্থী মনোনয়নে কেন্দ্র চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। যার খেসারত দিতে গিয়ে শত শত নেতা-কর্মী হামলা মামলার শিকারসহ কারাবাস পর্যন্ত করেছে। তাদের মতে রূপগঞ্জে কাজী মনিরের চাইতে বর্তমানে দল থেকে বহিষ্কার হওয়া তৈমূর আলম খন্দকারের গ্রহনযোগ্যতা অনেক বেশী ছিল। আড়াইহাজারে আতাউর রহমান আঙ্গুরের মত প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে অপরিচিত মুখ নজরুল ইসলাম আজাদকে মনোনয়ন দেয়ায় সেখানকার নেতা-কর্মীরা প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই অনেকটা নিরব ছিল। সোনারগাঁয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নানের চাইতে অধ্যাপক রেজাউল করিমের সাধারণ ভোটারদের কাছে গ্রহনযোগ্যতা থাকলেও দল আজহারুল ইসলাম মান্নানকেই মনোনয়ন দেয়। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে একেবারেই অপরিচিত মুখ মুফতি মনির হোসেন কাসেমীকে মনোনয়ন দেয়ায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা শুধু ক্ষুদ্ধই হয়নি বরং অনেকেই ভোট কেন্দ্রে যাননি। এমনকি কাসেমী নিজেও ভোটারদের কাছে গিয়েছেন এমন কথা কেউ বলতে পারেবে না। অথচ এই আসনে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন মনোনয়ন পেলে শামীম ওসমানের সাথে ভোট যুদ্ধ হতে বলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধারণা। সদর-বন্দর আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এসএম আকরাম এমনইতেই অনেকটা বির্তকিত। সেলিম ওসমানের সাথে সদর-বন্দর বাসীর মধ্যে সর্ম্পক্য প্রানের সর্ম্পকে রূপান্তুরিত হয়েছে। আর এ কারনে সরকারী বরাদ্দের বাহিরেও এলাকার উন্নয়নে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে স্কুল কলেজ নির্মাণ, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনগুলিকে অনুদান প্রদানসহ সাধারণ মানুষকে স্বাবলম্বী করতে যে ভ’মিকা পালন করেছেন সেই তুলনায় তার প্রতিপক্ষ এসএম আকরামকে এলাকায় দেখা যায়নি বললেই চলে। দ্বাদশ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতা-কর্মীদের মূল্যায়নে এসব তথ্য বেরিয়ে আসার পর অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করে জানান, বিএনপির রাজনীতি করার ইচ্ছা তাদের আর নেই। নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের সবকটির নেতা-কর্মীরা এখন হতাশাগ্রস্থ। এ অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ বিএনপি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এমনটা ভাবছে না খোদ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। দলের নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দীন জানান, এখন আর ভিন্ন কোনো পথ নেই সবার পথ এক পথ। সেই পথ হচ্ছে বেঁচে থাকার জন্য লড়াইয়ের পদ। এখন আন্দোলন সংগ্রমের মাধ্যমে এ সরকারের পতন নিশ্চিত করে মানুষের দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি দিতে হবে। আর সেই লক্ষ্যে এখন সব মোহনা এক সঙ্গে এসে মিশেছে। এখন আমরা একত্রিত হয়ে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজপথ দখলে রেখে সব আন্দোলন সংগ্রামের কর্মসূচি সফল করে এ সরকারের পতন ত্বরান্বিত করবো।শত নির্যাতনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে বিএনপি এখনো শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন। তিনি আরো বলেন, দলীয় নেতৃবৃন্দে আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে নামলেই ক্ষমতাসীনদলের নেতৃবৃন্দের মাথা খারাপ হয়ে যায়। তারাতো নিজেরা কিছু করতে পারেন না’ পুলিশ দিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দকে দমন নীপিড়নসহ মিথ্যা মামলার মাধ্যমে আন্দোলন থেকে দূরে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা চালাতে পারেন শুধু! তবুও নারায়ণগঞ্জে ঐক্যবদ্ধ বিএনপির রাজনীতিতে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, অনেকে জানতে চান কবে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তাদের কথা শুনে আমি অবাক হই। বিএনপি তো আন্দোলনের মধ্যেই আছে। সরকারের নানা ব্যর্থতায় আমরা রাজপথেই প্রতিবাদ করছি। আন্দোলন মানে তো গাড়ি ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও নয়, আমরা এসবে বিশ্বাস করি না। জনগণও সেটা চায় না। আমরা চাই সরকারবিরোধী একটি গণআন্দোলন। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু সরকার তার গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করে সবসময় বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। অতীতে আমরা সরকারের এমন নীলনকশা দেখেছি। সরকার একটা বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করে বিএনপিকে আন্দোলনে উসকে দিতে চাইছে। কিন্তু আমরা সরকারের কোনো উসকানিতে পা দেব না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সময়মতো চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ছবি-আ’লীগ নেতৃবৃন্দ
আ’লীগের রাজনীতিতে ভাটা!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সম্মেলনের পরও উজ্জীবিত হতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে ভাটা পড়ছে। হঠাৎই রাজনীতিতে নিস্ক্রীয় হয়ে পড়েছেন স্থানীয় নেতারা। দল ক্ষাতায় থাকলেও রাজনীতিতে যতটা তৎপরতা হওয়ার প্রয়োজন ছিল তার আংশিক তৎপরতাও নেই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের রাজনীতি। দ্বাদশ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে নেতাকর্মীদের হঠাৎ করে এমন ঝিমিয়ে পড়াটা ভালভাবে দেখছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকমহল। এদিকে অতীতের দিকে ফিরে গেলে দেখা যায় যে, পাশাপাশি নির্বাচনের পর বিভিন্ন বৈধ-অবৈধ সেক্টর নিয়ন্ত্রনে ক্ষমতাসীনদের সুবিধাবাদিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাাও ঘটেছে একাধিকবার। বর্তমানে সেই সুবিধাবাদিরাও রাজনীতিতে ইউটার্ন দিয়েছেন। তবে আওয়ামীলীগের সুবিধাবাদিরা এতোদিন হাট-ঘাট দখল, ভূমিদস্যুতা, মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার, জুট সেক্টর নিয়ন্ত্রন, চোরাই তেল সেক্টর নিয়ন্ত্রন, চাঁদাবাজী, ডিস ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে আসছিল তারা প্রশাসনের হার্ডলাইনের কারনে আত্মগোপনে চলে গেলেও যারা নিজেদের ক্লিন ইমেজের নেতা দাবী করে আসছিলেন তারাও রাজনীতিতে নিশ্চুপ থাকাটাকে ভাল চোখে দেখছেন না মাঠ পর্যায়ের নেতারা। শীর্ষ নেতাদের নিশ্চুপ থাকায় মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মনে প্রশ্ন জেগেছে- তাহলে কি যারা এতোদিন নিজেদের প্রকৃত আওয়ামীলীগার দাবী করে আসছেন তারাও গোপনে গোপনে বিতর্কিত কর্মকান্ড করছেন? নয়তো প্রকৃত আওয়ামীলীগার দাবীদারাও কেন এখন রাজনীতিতে নিশ্চুপ। জানাগেছে, দেড়যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাহিরে থানায় নারারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতারা ঝিমিয়ে পড়েছে। যদিও কৌশল অবলম্বন করে মাঠে থাকার চেষ্টা করছেন তারা। কিন্তু দল ক্ষমতায় থাকলেও স্থানীয় আওয়ামীলীগও হঠাৎই রাজনীতিতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তবে দল ক্ষমতায় থাকায় আওয়ামীলীগের অনেকেই নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। বৈধ আয়ের চেয়ে অবৈধ উপায়েই আয় করে টোকাই থেকে অনেকে কোটিপতি বনে গেছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন নেতা বক্তব্য দিয়ে আসছেন, নারায়ণগঞ্জে সুবিধাবাদি নেতার সংখ্যা বাড়ছে। সুবিধাবাদিরা রাজনীতিকে ব্যবসায় পরিনত করেছেন। পাশাপাশি নিজেদের প্রকৃত আওয়ামীলীগারও দাবী করে আসছিলেন। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতাদের ভাগ্য পরিবর্তনের তালিকায় এরাই শীর্ষ রয়েছেন। এমনকি জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের শীর্ষ পদগুলিও তাদের দখলে রয়েছেন। তাহলে কি নিজেদের বাঁচাতে এমন বক্তব্যদানকারীরা এখন নিশ্চুপ রয়েছেন- এমন প্রশ্ন মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের। ইতিমধ্যে যারা আওয়ামীলীগের পদ-পদবী ব্যবহার করে অবৈধ পন্থায় বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন তাদের একটি তালিকা তৈরী করেছে বিশেষ একটি গোয়েন্দা সংস্থা। ঐ তালিকা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানাগেছে। এরইমধ্যে আওয়ামীলীগের সুবিধাবাদিদের তালিকায় থাকা অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। আবার কেউ কেউ আত্মগোপনে না গেলেও নিজেদের বাঁচাতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। তাহলে কি নিজেদেরকে বাঁচাতেই স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতারা রাজনীতিতে নিশ্চুপ রয়েছেন-এমন প্রশ্ন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দলের মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের।
ছবি-জেলা ও মহানগর বিএনপি
আতাঁতে পিছিয়ে বিএনপি!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের সাথে আতাঁত করে সাংগঠনিক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়েছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলো। বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের অস্তিত্ব আর অবস্থান টিকিয়ে রাখার জন্য অনেকেই গোপনে বা প্রকাশ্যে আতাঁত করে চলছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সাথে, এমনি মন্তব্য করেছে তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। আতাঁতকারীরা দলের মধ্যে থেকে দলের শত্রু হিসেবে কাজ করছে। যার কারনে দল সাংগঠনিক ভাবে ঘুরে দাড়াঁতে পারছেনা। এ দিকে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি এবং মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.সাখাওয়াত হোসেন খাঁন জেলা ও মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে বিরোধ সৃষ্টি করে আসছে বলে অভিযোগ তৃনমূল কর্মীদের। কর্মীদের মতে, দলের এই দুই শীর্ষ নেতা নিজের অবস্থান ধরে রাখতে এবং দলের মধ্যে নিজস্ব বলয় তৈরী করতেই বিএনপিতে কোন্দলের সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে সাংগঠনিক পদ পদবির আসায় অনেকেই মামলার দোহাই দিয়ে আত্মগোপনের নাটক সাজিঁয়ে চসে বেড়াছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে এই লুকোচুরি খেলা থেকে পরিত্রানের জন্য কেউ কেউ দীর্ঘ দশ মাস পর আদালতে আত্মসর্মপন করেছেন। এরই মধ্যে কিছু নেতাকর্মী যারা ক্ষমতাসীনদের সাথে আতাঁত করে দলের এ দুঃসময়ে দিব্বি আরাম আয়েশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পরিবার পরিজন নিয়ে। শুধু তাই এ সকল নেতাদের মূখে বর্তমান সরকারের গুনগানের শেষ নেই। বিভিন্ন সভাসমাবেশে তারা আওয়ামীলীগ সরকারের প্রংশসা করতে গিয়ে ভুলে যান তারা বিএনপির বড় পদে আছেন। আর সে সকল নেতারা দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করে বেড়াচ্ছে। সর্বপরি যারা তৃনমূল নেতাকর্মী ও দলকে ভালবেসে রাজনীতিতে অংশ গ্রহন করেছেন, তাদের অনেকেই নাশকতার মামলায় দীর্ঘদিন জেল খেটে বের হয়ে দলকে গুছানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারাও ব্যার্থ হচ্ছেন নিজ দলের মধ্যে ঘাঁপটি মেরে থাকা কিছু নেতাকর্মীদের কারনে। এব্যপারে নাম প্রকাশ না করার র্শতে তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা সরকার পতন আন্দোলন করতে গিয়ে দমন নিপীড়ন নির্যাতনের শিকার ও মামলায় জর্জড়িত হয়ে কারাগারে বন্দি আছে অনেক নেতাকর্মী। ঠিক তখনি দেখা গেলো যারা সরকার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিল না, তারাই এখন দলে কোন্দল সৃষ্টি করে নেতৃত্ব ধরে রাখতে পাঁয়তারা করছে। সে সমস্ত নেতাকর্মীরা সরকারী দলের নেতৃবৃন্দদের সাথে আতাঁত করে সুযোগ সুবিধা গ্রহন করে নিজেদেরকে দলের সত্যিকারের নেতাকর্মী বলে দাবী করছে। তারা আরও বলেন, যারা দেশ ও জনগনের কথা চিন্তা করে শহিদ জিয়ার আদর্শকে সামনে রেখে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করেছেন। তারা প্রকৃত পক্ষে এই সব সুবিদাবাদী নেতাদের কারনে অনেকাংশে বঞ্চিত হচ্ছে। আর সেই সব সুবিদাবাদী নেতারা ক্ষমতাশীনদের সাথে রাতের আধারে গোপন মিটিং করে দলকে নিশ্চিহ্ন করার পায়ঁতারা করে বেড়াচ্ছে। এই ধরনের নেতাদের সংখ্যা শুধু মহানগরীতেই নয়, সাড়া জেলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বিগত দিনে যারা সরকার পতন আন্দোলন সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েছিলো, তাদের অনেকেই আজ কারাগারে রয়েছে, অনেকেই পলাতক জীবন যাপন করছে, আবার অনেকেই নিজেকে বড় নেতা হিসেবে দলের কাছে তুলে ধরার জন্য আত্মগোপনের নাটক সাজিয়ে ঘুরে বেড়াছে। আর যারা ক্ষমতাশীনদের সাথে আঁতাত করে চলছে, তারা রয়েছেন মহা আমেজের মধ্যে।
এ বিষয়ে নারায়নগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দীন বলেন, বিএনপি একটি বড় দল ইচ্ছে করলেই কেউ বিএনপিকে ভাঙ্গতে পারবে না। যাদের কাজ আতাত করা তারা আতাত করে যাবে সারা জীবন, কিন্তু তাতে কোন লাভ হবে না। দলের চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন নেত্রী তাই আমি বলতে চাই কারো সাথে আতাঁত করে নয়, দলের ঐক্যকর জন্য সকলকে কাজ করতে হবে। তা না হলে দলে তাদের কোন জায়গা হবে না। যারা দলের দুঃসময়ে সরকার দলীয়দের সাথে আতাঁত করে দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। নগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, সরকার পতন আন্দোলন করতে গিয়ে রাজপথে অবস্থান করেছি। পুলিশ নির্যাতন সহ্য করার পাশাপাশি একাধিক মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে জেল খেটেছি। তবুও দলের স্বার্থে সব সময়ই মাঠে ছিলাম এবং ভবিষত্যে থাকবে। কেউ যদি দল ভাঙ্গার চেষ্টা করেন বা সরকারি দলের নেতাকর্মীদের সাথে আতাঁত করে দলের ক্ষতি করতে চাচ্ছে তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। বিএনপি একটি বড় দল সে দলে পদ নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকতে পারে কিন্তু কোন্দল নেই।