বন্দরে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে
টাঙ্গাইলের হতাশাগ্রস্থ্য ভাই এরশাদের আত্মহত্যা
বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে টাঙ্গাইলের হতাশাগ্রস্থ যুবক এরশাদ (৩০) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। গত রোববার (১২ মার্চ) রাতে যে কোন সময়ে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বুরুন্দীস্থ জনৈক জামাতা জামান মিয়ার বত ঘরে আড়ার সাথে গামছা পিচিয়ে ওই যুবক আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যাকারি যুবক এরশাদ টাঙ্গাইল জেলার একই থানার মাটি কাটা এলাকার আনসার আলী মিয়ার ছেলে। আত্মহত্যার ঘটনার খবর পেয়ে স্থধানীয় এলাকাবাসী জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে বন্দর থানা পুলিশকে সংবাদ জানালে খবর পেয়ে মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে হতাশাগ্রস্থ যুবক এরশাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় বন্দর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আত্মহত্যাকারি যুবকের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এরশাদ বিবাহিত ছিল। গত ৬ মাস ধরে হতাশাগ্রস্থ যুবক এরশাদ তার বোনের বাড়ি বন্দর উপজেলার বুরুন্দী এলাকায় বসবাস করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত রোববার রাতে যে কোন সময়ে বোনের বসত ঘরের আঁড়ার সাথে গামছা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক জানান, আত্মহত্যা কারন জানার জন্য মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সে সাথে পুলিশে তদন্ত অব্যহত রয়েছে।
ধামগড়ের যুবক রোমানের লাশ উদ্ধারের
২ দিন পর অজ্ঞাত আসামী করে থানায় হত্যা মামলা
বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে রোমান (২০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনার ২ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত যুবকের মা মুক্তা বানু বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় ওই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৬(৩)২৩ ধারা- ৩০২/ ২০১/৩৪ প্যানাল কোর্ট। গত শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেল ৩টায় বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের ভাংতি টেক্সটাইল মিলস এর রাস্তার পশ্চিম পাশের মাটির স্তÍপের উপর থেখে নিহত যুবক রোমানের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ধামগড় ফাঁড়ী পুলিশ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুর ২টায়বন্দর থানার রামনগরস্থ তার নিজবাড়ি থেকে খেলার উদ্দেশ্যে বের হয়ে ওই যুবক নিখোঁজ হয়। নিহত রোমান বন্দর থানার রামনগর এলাকার রুহুল আমিন মিয়ার ছেলে । নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় রোমান খেলার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে রোমান রাত ১০টা অতিবাহিত হলেও বাড়ি না ফেরার কারনে তার মা মুক্তা বানু তার ছেলে রোমানের ব্যবহারকৃত ০১৮৪৪৮৮৭৮৬১ নাম্বারের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক স্থানে খোঁজাখুজি করে রোমানের কোন সন্ধান পায়নি। এর ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার দুপুর ২টায় অজ্ঞাত নামা এক ব্যাক্তি আমার ছেলেরর মোবাইল ফোন থেকে ফোন করে জানায় ধামগড় ইউনিয়নের ভাংতি টেক্সটাইল মিলস এর পশ্চিম পাশের মাটির স্তÍপের মধ্যে একটি লাশ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে রোমানের মা মুক্তা বানু দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ছেলে মৃতদেহ শনাক্ত করে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, রোমান নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাত আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। ধামগড় ফাঁড়ী উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন ।
প্রাইভেট না পাড়ার জের
বন্দরে বিএম স্কুলের শিক্ষক সাইফুল কতর্ৃক ক্ষুদে শিক্ষার্থী জুবায়ের নির্যাতন
বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে ঐতিহ্যবাহী বি.এম. ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্র নির্যাতনের গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার (১২ মার্চ) দুপুর ১টায় ও সোমবার (১৩ মার্চ) একই সময়ে উল্লেখিত স্কুলে ওই ছাত্র নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় নির্যাতিত ছাত্রের পিতা গর্ভনিং বডির নিকট বিচার চেয়ে না পেয়ে এ ব্যাপারে রোববার দুপুরে বদ মেজাজি শিক্ষক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নির্যাতিত ক্ষুদে শিক্ষার্থী জুবায়ের আহাম্মেদ বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার জাহিদ সরদারের ছেলে। অভিযোগের বাদী গনমাধ্যমকে জানায়, আমার ছেলে জুবায়ের আহাম্মেদ বন্দর বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে খেলাপড়া করে আসছে সে একজন মেধাবী ছাত্র।। জুবায়ের স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণী ইংরেজী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম আমার ছেলেকে প্রাইভেট পড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছে। আমার ছেলে প্রাইভেট পড়বে না বলে জানালে এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে কারনে বা অকারনে আমার ছেলে জুবায়ের আহাম্মেদকে ক্লাশের মধ্যে শাররিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে। আমার ছেলে বিষয়টি আমার কাছে জানালে আমি এ ব্যাপারে ইংরেজী শিক্ষক সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বলি। সে আমাকেও জানায় আমার ছেলে যেন তার কাছে প্রাইভেট পড়ে। ওই সময় আমি অসম্মতি প্রকাশ করলে উল্লেখিত শিক্ষক আমাকেও বিভিন্ন ভাবে হুমকি দামকি দেয়। এক পর্যায়ে সে বলে আমার কাছে না পরলে সে কিভাবে বিএম স্কুলে পড়ে সে দেখে নিবে। এর ধারাবাহিকতায় গত রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে ইংরেজী ক্লাশ চলাকালে উক্ত শিক্ষক আমার ছেলেকে বেদম ভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৩ মার্চ) একই সময়ে ইংরেজী ক্লাশ চলাকালে শিক্ষক সাইফুল ইসলাম আবারও আমার ছেলেকে অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ বেদম ভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে। আমি স্থানীয় ভাবে বিচার চেয়ে না পেয়ে এ ব্যাপারে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইংরেজী শিক্ষক সাইফুল ইসলামের সাথে যোগায়োগের চেষ্টা করা হলে তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের অভিভাবক প্রতিনিধি মহিউদ্দিন সিদ্দিকী জানান, ভ্থক্তভোগী ছাত্রের পিতা বিষয়টি আমাকে মুখিক ভাবে জানিয়েছে। আমি তাকে বলেছি বিষয়টি সভপতি মহদয়সহ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ এবং গর্ভনিং বডিকে জানিয়ে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা